Sunday 18 March 2018

ম্যালেরিয়া কি? ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে আমাদের কি করতে হবে?

ম্যালেরিয়া কী ?
স্ত্রী জাতীয় এনোফিলিস মশার কামড়ে ছড়ায় এমন এক ধরণের সংক্রামক জ্বর হলো ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু মশার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে ছড়াতে পারে।
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ 
​রোগের লক্ষণের ধরণ অনুসারে ম্যালেরিয়াকে সাধারণ বা জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়া ও মারাত্মক ম্যালেরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

সাধারণ বা জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়ার লক্ষণ 
ম্যালেরিয়া জ্বর থেকে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আসে৷ শীত করে, কাঁপুনি দেয়৷ গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়৷ এছাড়া হজমের গোলযোগ দেখা যায়৷ শরীর দুর্বল অনুভূত হয়, ক্লান্তি লাগে৷ এ সময়ে খিদে কমে যায়৷ তাই এ সময় রোগীকে হালকা ধরনের খাদ্যই দিতে হয়৷ বিশেষ করে তরল খাদ্য৷ শক্ত বা গুরুপাক খাদ্য বর্জন করা উচিত৷
মারাত্মক ম্যালেরিয়ার লক্ষণ
ম্যালেরিয়া রোগের জটিল ধরন হলো মারাত্মক ম্যালেরিয়া৷ জরুরি চিকিৎসা না পেলে এসব রোগীর মৃত্যু হতে পারে৷ সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া (মারাত্মক ম্যালেরিয়া) রক্তশূণ্যতা, কিডনি বৈকল্য, শ্বাসকষ্ট হওয়া, জন্ডিস, খিঁচুনি, রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ এক্ষেত্রে রোগী নিজে বসতে দাঁড়াতে কিংবা হাঁটতে পারে না, বারবার বমি হয়৷ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এমন কি মৃত্যুও হতে পারে৷
ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা  
সাধারণ/জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় আগে মুখে খাওয়ার ঔষধ ক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হতো৷ ক্রমে এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়৷ যার মধ্যে বাংলাদেশে কো-আর্টেম ব্যবহার করার নিয়ম সম্প্রতি চালু হয়েছে৷ যদিও ভাইভেক্স ম্যালেরিয়ায় এখনো ক্লোরোকুইন কার্যকর ঔষধ হিসেবে বাংলাদেশে স্বীকৃত৷ সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া (মারাত্মক ম্যালেরিয়া)-র রোগীকে মুখে খাওয়ার ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়৷ ফলে এদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়৷ এখনো কুইনাইন ইনজেকশন স্যালাইনের মাধ্যমে প্রদান করাই হচ্ছে মারাত্মক ম্যালেরিয়ার মূল চিকিৎসা৷ এ ধরনের রোগীর প্রয়োজনীয় নার্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷