Sunday 18 March 2018

আপনার সামনে কেউ ইভটিজিং এর শিকার হলে কি করবেন?

বর্তমান সময়ে বিভিন্নভাবে ইভটিজিং-এর শিকার হচ্ছে মেয়েরা। ইভটিজিং বলতে মূলত মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করা, অশ্লীলভাবে সম্বোধন করা, যৌন হয়রানি ইত্যাদি বোঝায়। আপনার সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আপনার উচিৎ পুলিশকে খবর দেওয়া।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ইভটিজিং বা যৌন নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আসুন জেনে নিই আপনার সামনে কেউ ইভটিজিং এর শিকার হলে একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনার করণীয় কি।
আপনার সামনে কেউ ইভটিজিং এর শিকার হলে যা করবেন:  
আপনি যদি দেখেন বা বুঝতে পারেন যে কোন মেয়ে ইভটিজিং বা যৌন নিপীড়নের মত ঘটনার শিকার হচ্ছে তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে নিকটস্থ পুলিশকে জানান। তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিভিন্নভাবে পুলিশকে জানানোর ব্যবস্থা আছে। ফোন, মোবাইল এ্যাপস এবং ওয়েবসাইট ছাড়াও সরাসরি পুলিশের হেল্প লাইনে ফোন করে জানানোর সুযোগ রয়েছে। নাগরিকরা পরিচয় গোপন রেখেও পুলিশকে তথ্য দিতে পারবেন। পুলিশ কোন তথ্য পেলে সাথে সাথে ইভটিজিং বা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ইভটিজিং রোধের সামাজিক সুবিধাগুলো:  
  • ইভটিজিং বা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
  • ইভটিজিং বা যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধ সমাজ থেকে দূর করা
  • নারী বা কিশোরীরা তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করতে পারে
  • নারী বা কিশোরীর নিরাপদ অনুভব করে
  • পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে
ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের সেবার বিবরণ:
সেবা প্রাপ্তির যোগ্যতা               :  বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র             :  আবেদন পত্র
প্রয়োজনীয় খরচ                    :  বিনামূল্যে এই সেবা প্রদান করা হয়
প্রয়োজনীয় সময়                    :  ১ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ২/৩ দিন
কাজ শুরু হবে                       :  নিকটস্থ থানা
আবেদনের সময়                    :  সারা বছর যে কোন সময়
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা                :  ওসি, এসআই/এএসআই
সেবা না পেলে কোথায় যাবেন    :  সার্কেল এ এস পি
বিস্তারিত তথ্যের জন্য              : পুলিশ হেল্প লাইন ১০০ অথবা ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৯৯৯।
প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট            : http://www.police.gov.bd